বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন একটি প্রচলিত মানসিক রোগ। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে কোনো উপযুক্ত কারণ ছাড়াই মন খারাপ এবং কষ্ট লাগার অনুভূতি হলে তাকে বিষণ্ণতা বলে। কোনো ধরনের নিপীড়নের শিকার হলে, আর্থিক, সামাজিক, শারীরিক ও মানসিকভাবে বঞ্চিত হলে, মনের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব থাকলে, ঘনিষ্ঠ কারো মৃত্যু বা গুরুতর অসুস্থতা, জেনেটিক বা শারীরিক অসুস্থতা, বিচ্ছিন্নতা, একাকিত্ব বা সামাজিক সহযোগিতার অভাব, বৈবাহিক সমস্যা বা সম্পর্কগত সমস্যা- এসবের কারণে বিষণ্ণতা হতে পারে।

বিষণ্ণ থাকলে মনোবল বাড়িয়ে দৈনন্দিন কাজ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। তবে যদি কেউ এ রকম সমস্যায় থাকেন তবে কিছু কাজ করতে পারেন যা কিছুটা হলেও সাহায্য করবে আপনাকে। লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট ওয়েলনেস বিন জানিয়েছে বিষণ্ণতা দূর করার কিছু পরামর্শ।

১/ ভুলেও পর্ণগ্রাফিতে আসক্ত হবে না। কারণ এই জিনিসটা আপনার মনমানসিকতা মুহুর্তে পরিবর্তন করে দিবে। এমনকি আপনার মনে লেসবিয়ান (যদি মেয়ে হোন) বা গে (যদি ছেলে হোন) এর মত কাজ করার ইচ্ছা জাগবে। তাছাড়া মেয়েদেরকে বা ছেলেদের নিয়ে কল্পনায় অনেক কিছু ভেবে ফেলবেন, যা বাস্তব জীবনে হবে না।

২/ বন্ধু সিলেক্ট করতে সর্বোচ্চ সতর্ক হোন। ভালো বন্ধু আপনাকে ভালো আউটপুট দিবে আর খারাপ বন্ধু আপনাকে যমের গর্তে নিয়ে যাবে। বন্ধুর এইসব ক্রিয়া আপনি বুঝে উঠতে পারবে না। কিন্তু ধীরে ধীরে আপনাকে ভালো বা খারাপের দিকে নিয়ে যাবে।

৩/ আবেগ সামলায়ে রাখবেন। আবেগে পড়ে জীবন ধ্বংস করবেন না। যদি আবেগে পড়ে কিছু করে বসেন, তাহলে সাময়িক আনন্দ পাবেন কিন্তু সারাজীবন কাঁদা লাগবে।

৪/ কখনো পৃথিবীর সবাইকে খুশি করার মনমানসিকতা রাখবেন না। যেখানে অসংখ্য মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে যেখানে আমি আর আপনি তো সাধারণ মানুষ!!!

৫/ কঠিন সময়ে যে আপনাকে সাহায্য করেছে এবং যে আপনাকে ছেড়ে চলে গেছে তাদেরকে কখনো ভুলবেন না, কখনো না।

৬/ নেশা জাতীয় জিনিস ভুলেও টেস্ট করতে যাবেন না। কারণ নেশা মানুষকে ধীরে ধীরে নিঃস্ব করে ফেলে।

০৭) ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বা মাজারে সওয়াবের আশায় কখনো টাকা পয়সা দিবেন না। আপনি যদি ভালভাবে খুজ নেন তাহলে দেখবেন এরাও ব্যবসা করে।

০৮) মা-বাবার সাথে কখনো খারাপ ব্যবহার করবেন না। এতে বিয়ে করার পর হোক আর আগে হোক। মনে রাখবেন বাবা-মা কখনো সন্তানের খারাপ চান না।তাদের কাজের পদ্ধতি খারাপ হতে পারে কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য খারাপ হতে পারে না।

০৯) কারো ভক্ত হলেও অন্ধভক্ত হতে যাবেন না।

১০) সোশ্যাল মিডিয়ার কাউকে ফলো করতে যাবেন না। নায়ক,গায়ক,নায়িকা,গায়িক-টায়িকা কারো না। এদের অভিনয় জীবন আর বাস্তব জীবনে অনেক পার্থক্য আছে।

১১)আপনি এলাকার বা দেশের বাইরে গেলেও আপনার আপন নীড়ের কথা ভুলে যাবেন না।

১২) সিনিয়রদের পরামর্শ ভালোভাবে শুনবে। তাদের কথার উপর কথা বলার ট্রাই করবেন না। সবসমনে রাখবেন, তারা তোমার বয়স পার করে এসেছে।

১৩) শুধু ইমাম আর মাওলানাকে সালাম না করে রিকশাওয়ালাকেও করতে পারো। মানে সমাজের সবাইকে করতে করবেন।

১৪)মহিলাদের সম্মান করতে ভুলবে না। রাস্তায় মেয়ে হেটে গেলে পিছন থেকে তাদের নিয়ে ‘মাল’ বলে কখনো মন্তব্য করবে না। মনে রাখবে, আপনার একটা বোন আছে বা বা মেয়েটি হতে পারে আপমার বউ।

১৫) রাগে কখনো কোনো আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন না। পরে পস্তাতে হবে।

১৬) নতুন কিছু জানার আগ্রহ কমাবেন না। এরজন্য বিভিন্ন বই,পত্রিকা, ম্যাগাজিন বা ওয়েবসাইট এ পড়তে পারেন। এই যে, কুরাতে আছেন কতকিছু শিখছেন আর কত নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে অন্যের উপকার করছেন।এগুলোই তো ভালো কাজের মধ্যে পড়ে।🥰

১৭) কখনো কারো কষ্টের বা ভালো কাজের কৃতজ্ঞতা দিতে ভুলবেন না। কৃতজ্ঞতা জানালে সেই ব্যক্তিটা তার কষ্টের কথা ভুলে গিয়ে খুশি হয়ে যায়।

এই যে ধরেন, আমি এত কষ্ট করে লিখলাম এবং ছবিগুলো এডিট করে লাগালাম তারজন্য আপভোট দিতে ভুলবেন না।